মোঃ শাহ আলম মিয়া,করেসপন্ডেন্ট,কোটালিপাড়া। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মেলা কমিটি কর্তৃক উত্তোলনকৃত টাকার দায় সাদুল্লাপুর ইউপি ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সুখরঞ্জন বাড়ৈ ধলু ও তার ছেলে ছাত্রদল কর্মী উত্তমবাড়ৈ এর ঘাড়ে চাপিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজীর অভিযোগ আনা হয়েছে।সরজমিন ঘুরে এমন তথ্যই জানতে পেরেছে গণমাধ্যম কর্মীরা।জানা যায় উপজেলার নৈয়ারবাড়ী মহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৮নং নৈয়ারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্বরে কার্তিক পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এ বৎসরও ১লা হইতে ৪ অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ডোবা, নৈয়ারবাড়ী সার্বজনীন দূর্গামন্দির সহ ৫টি মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ,মেলার মাঠ পরিস্কারসহ নানাবিধ খরচ বাবদ মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা স্বপ্রণোদিত ভাবে কিছু টাকা অন্য বছরের ন্যায় দান করেন মেলা আয়োজক কমিটিকে। ফুস্কা ব্যবসায়ী বিধান বাড়ৈ,চানাচুরের সদানন্দ হালদার,কসমেটিক্স এর সমির বাইনসহ একাধিক ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের বলেন-মন্দিরের উন্নয়ন ও মাঠ পরিস্কারসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ আমরা খুশি মনে আয়োজক কমিটিকে পাঁচশত থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত যে যত পারি দান করেছি, বিএনপি'র নেতারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ার কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।এ ব্যাপারে মেলা আয়োজক কমিটির সহ সভাপতি অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সুখরঞ্জন বাড়ৈ ধলু জানান কমিটির সাথে থেকে আমরা ১৫/২০ জনে মিলে কিছু টাকা উত্তোলন করেছি,সব টাকা মন্দিরের ফান্ডে জমা হয়,দলের নাম ভাঙ্গিয়ে একাকি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি, আমার ছেলে উত্তমও কোন প্রকার টাকা পয়সা উত্তোলনের সাথে জড়িত না,আমার এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মান ক্ষুন্ন করার লক্ষে একটি কুচক্রি মহল এই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে, আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এ বিষয়ে মেলা উদ্বযাপন কমিটির সভাপতি অত্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসুদেব বাড়ৈ বলেন- মন্দির পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকজন দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেছে,কোন প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি।