সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
Daily Nasa News
প্রকাশ : শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

রংপুর সদরের অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু

রংপুর সদরের অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু
রংপুর সদরের অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু

মোঃ আব্দুল কাহার সিদ্দিকী,জেলা করেসপন্ডেন্ট,রংপুর। 

রংপুর  সদরের  এনথ্রাক্স (তড়কা) প্রতিরোধে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এনথ্রাক্স রোগ নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল ইউনিয়নে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। খামারি এবং মাংস বিক্রেতাদের সাথে মত-বিনিময় সহ অসুস্থ পশু জবাই বন্ধে কঠোর তদারকি করা হচ্ছে।

এনথ্রাক্স একটি জুনোটিক রোগ (আক্রান্ত পশু থেকে মানুষে সংক্রামিত হয়।রংপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ  দপ্তর এ রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে৷উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন রংপুর সদর উপজেলা এ পর্যন্ত ২৮৫০০ গরুকে তড়কা রোগের টিকা প্রদান করা হয়েছে এবং চলমান রয়েছে ৷বিভিন্ন খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক,সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ এবং উপজেলা জুড়ে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম চলছে।

মৃত পশু যেখানে/সেখানে না ফেলে বা পানিতে না ভাসিয়ে উঁচু স্থানে কমপক্ষে ৬ হাত গভীর গর্ত করে চুন ছিটিয়ে পুঁতে ফেলতে হবে।অসুস্থ পশুর সকল মলমূত্র,রক্ত ও বিছানাপত্র একই গর্তে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে দিতে হবে।আক্রান্ত স্থান ব্লিচিং পাউডার বা অন্য কোন জীবাণুনাশক ঔষধ দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।এলাকায় সকল সুস্থ গবাদিপশুকে এনথ্রাক্স (তড়কা) রোগের টিকা দিতে হবে বললেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দ্রুত চিকিৎসা না করলে আক্রান্ত পশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে এবং মানুষের জীবনেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।সকল খামারিদের অসুস্থ পশু সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে বলেন ৷সাধারণ মানুষকে অসুস্থ পশু থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।রংপুর  সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন অ্যানাক্স প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতেছি। কর্মকর্তা কর্মচারী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে আসতেছে।আসুন আতংকিত না হয়ে সচেতন হই,সুস্থ গবাদিপশুকে সময়মত টিকা দেই৷

 এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন এখন পর্যন্ত রংপুর সদর উপজেলায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেনি ৷ এ রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে  প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন ৷ 





বিষয় : রংপুর সদর নিউজ প্রতিরোধ

আপনার মতামত লিখুন

পরবর্তী খবর
Daily Nasa News

সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫


রংপুর সদরের অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু

প্রকাশের তারিখ : ১১ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

মোঃ আব্দুল কাহার সিদ্দিকী,জেলা করেসপন্ডেন্ট,রংপুর। 

রংপুর  সদরের  এনথ্রাক্স (তড়কা) প্রতিরোধে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এনথ্রাক্স রোগ নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল ইউনিয়নে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। খামারি এবং মাংস বিক্রেতাদের সাথে মত-বিনিময় সহ অসুস্থ পশু জবাই বন্ধে কঠোর তদারকি করা হচ্ছে।

এনথ্রাক্স একটি জুনোটিক রোগ (আক্রান্ত পশু থেকে মানুষে সংক্রামিত হয়।রংপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ  দপ্তর এ রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে৷উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন রংপুর সদর উপজেলা এ পর্যন্ত ২৮৫০০ গরুকে তড়কা রোগের টিকা প্রদান করা হয়েছে এবং চলমান রয়েছে ৷বিভিন্ন খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক,সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ এবং উপজেলা জুড়ে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম চলছে।

মৃত পশু যেখানে/সেখানে না ফেলে বা পানিতে না ভাসিয়ে উঁচু স্থানে কমপক্ষে ৬ হাত গভীর গর্ত করে চুন ছিটিয়ে পুঁতে ফেলতে হবে।অসুস্থ পশুর সকল মলমূত্র,রক্ত ও বিছানাপত্র একই গর্তে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে দিতে হবে।আক্রান্ত স্থান ব্লিচিং পাউডার বা অন্য কোন জীবাণুনাশক ঔষধ দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।এলাকায় সকল সুস্থ গবাদিপশুকে এনথ্রাক্স (তড়কা) রোগের টিকা দিতে হবে বললেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দ্রুত চিকিৎসা না করলে আক্রান্ত পশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে এবং মানুষের জীবনেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।সকল খামারিদের অসুস্থ পশু সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে বলেন ৷সাধারণ মানুষকে অসুস্থ পশু থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।রংপুর  সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন অ্যানাক্স প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতেছি। কর্মকর্তা কর্মচারী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে আসতেছে।আসুন আতংকিত না হয়ে সচেতন হই,সুস্থ গবাদিপশুকে সময়মত টিকা দেই৷

 এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন এখন পর্যন্ত রংপুর সদর উপজেলায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেনি ৷ এ রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে  প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন ৷ 






Daily Nasa News

Editor & Publisher: Shariful Islam
কপিরাইট © ২০২৫ Daily Nasa News । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত