২ শিশু উদ্ধারসহ আটক ২জন,শিশু উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত চার পুলিশ
আকিকুর রহমান রুমন,হবিগঞ্জ।হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে আদালতের নির্দেশে শিশু উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন চার পুলিশ সদস্য।গত ১৬ ই অক্টোবর বুধবার দুপুরের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।আহত পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।আহত পুলিশ সদস্যরা হলো মাধবপুর থানাধীন কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল শরীফ আহমেদ,শাহেদ আহমেদ ও সুজন কান্তি।এই ঘটনা সম্পর্কে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় গাজীপুর গ্রামের আকিল মিয়া ও তার সাবেক স্ত্রী নাজমা আক্তার(দিপ্তী)এর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।এ নিয়ে স্বামী আঁকিল মিয়ার কাছ থেকে তার সন্তান উদ্ধারের জন্য হবিগঞ্জ আদালতে ১০০ ধারায় মামলা করেন দিপ্তী।আদালত মাধবপুর থানা পুলিশকে শিশু উদ্ধার করার নির্দেশ প্রদান করেন।এই নির্দেশ অনুযায়ী শিশু উদ্ধারের দায়িত্বভার পরে ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান এর নিকট।গতকাল বুধবার দুপুরে এসআই মিজানুর রহমান তার সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে শিশু উদ্ধারের জন্য আকিল মিয়ার বাড়িতে যান।তখন আঁকিল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সাথে তর্ক বির্তকে জড়িয়ে উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।এ সময় এস,আই মিজানুর রহমান সহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত সহকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।এবং দু'টি শিশুকে উদ্ধার করে হামলাকারী ২জনকে আটক করেন।আহত পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিকা পাল।তিনি জানান আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কারো মাথা ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এদিকে আহত এস,আই মিজানুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আদালতের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে অভিযুক্ত আঁকিল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা বেআইনিভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ উল্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আহত পুলিশ সদস্যদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এবং দু'টি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।এছাড়াও হামলাকারী দুই জনকে আটক করা হয়েছে।হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।