বিশেষ প্রতিবেদক,দৈনিক নাসা নিউজ। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারি পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করা হয়েছে।আজ শনিবার ২৫ শে অক্টোবর সকালে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের ছোট বাড়ি এলাকা থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।এলাকাবাসীর খবর পেয়ে পুলিশ,সেনাবাহিনী ও জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সকদিরামপুর গ্রামের খলিল বেপারির ছেলে মাদক কারবারি আল-আমিন (২৫) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি রুবেল হোসেন (২৮) ফজরের নামাজের পর একটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে আসে।পরে আল-আমিনের বাড়ির গোসলখানায় গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখে।এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসী পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।এলাকাবাসী জানায় রুবেল হোসেন এর আগে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।গত ১০ দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠে।উল্লেখ্য ২০২৩ ইং সালের ৫ ই ফেব্রুয়ারি একই ইউনিয়নের বাইক্কারবাগানের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।সে মামলার অন্যতম আসামি ছিল এই রুবেল হোসেন।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান সকালে ফজরের নামাজের পর এলাকাবাসী আমাকে জানায় এ এলাকার কুক্ষাত মাদক কারবারি রুবেল জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদক কারবার সাথে জড়িয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দয়। তার পালিয়ে যায়।আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দেই।তিনি আরো জানান তাদের কারনে এ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ আলম বলেন সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ,সেনাবাহিনী ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তবে মূল মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।আল-আমিনের বাবা খলিল বেপারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।