রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
Daily Nasa News

৬ দশমিক ১ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠে তুরস্কের বালিকেসির প্রদেশ

৬ দশমিক ১ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠে তুরস্কের বালিকেসির প্রদেশ
৬ দশমিক ১ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠে তুরস্কের বালিকেসির প্রদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,দৈনিক নাসা নিউজ।   

তুরস্কে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির পশ্চিম অঞ্চলে গতকাল সোমবার ২৭ শে অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৪৮ মিনিট) ৬ দশমিক ১ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠে বালিকেসির প্রদেশ।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলে ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (আফাদ) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বালিকেসির প্রদেশের সিন্দির্গি শহরের কাছে,ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার গভীরে।shallow-depth বা অগভীর এ ভূমিকম্পের কারণে আশপাশের এলাকাগুলোতে কম্পন বেশ তীব্রভাবে অনুভূত হয়।ইস্তানম্বুল,বুরসা, মানসিয়া ও ইজমিরসহ পশ্চিম অঞ্চলের বিভিন্ন প্রদেশেও দোলন অনুভূত হয়েছে।আতংকে অনেক মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে আশ্রয় নেয়।সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে,অনেক ভবনের জানালার কাচ ভেঙ্গে গেছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

আফাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয় সিন্দির্গিতে বেশ কিছু পুরনো বাড়ি ও ছোট আকারের দোকানঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র জানতে জরিপ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নিহত বা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।এর আগে গত আগস্টেও একই স্থানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যার কেন্দ্রও ছিল সিন্দির্গি।সেই কম্পনের পর থেকে বালিকেসির অঞ্চলে ছোট ছোট আফটারশকের প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেনঐ এলাকার ফল্টলাইনে টেকটোনিক চাপ ধীরে ধীরে জমা হচ্ছিল,যা সোমবার রাতে আবারও মুক্তি পেয়েছে।

ভূগর্ভের টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে তুরস্কে ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত ঘটনা।দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলেন ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। ধসে পড়েছিল হাজার হাজার ভবন।সেই ভয়াবহ কম্পন সিরিয়ার উত্তর অঞ্চলেও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটিয়েছিল-সেখানে মারা যান অন্তত ৬ হাজার মানুষ।

তুরস্ক সরকার জানিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি প্রতিক্রিয়া ইউনিটগুলো প্রস্তুত আছে।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জনগণকে শান্ত থাকতে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন আপাতত বড় কোনো উদ্ধার অভিযান চালানোর প্রয়োজন দেখা যায়নি, তবে সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে।ভূমিকম্পের পর স্থানীয় সময় রাতভর আফটারশক অব্যাহত ছিল।অনেক মানুষ খোলা জায়গায় রাত কাটায়। সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বজুড়ে অনেকে।

সূত্রঃ এএফপি


বিষয় : আন্তর্জাতিক তুরস্ক

আপনার মতামত লিখুন

পরবর্তী খবর
Daily Nasa News

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫


৬ দশমিক ১ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠে তুরস্কের বালিকেসির প্রদেশ

প্রকাশের তারিখ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,দৈনিক নাসা নিউজ।   

তুরস্কে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির পশ্চিম অঞ্চলে গতকাল সোমবার ২৭ শে অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৪৮ মিনিট) ৬ দশমিক ১ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠে বালিকেসির প্রদেশ।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলে ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (আফাদ) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বালিকেসির প্রদেশের সিন্দির্গি শহরের কাছে,ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার গভীরে।shallow-depth বা অগভীর এ ভূমিকম্পের কারণে আশপাশের এলাকাগুলোতে কম্পন বেশ তীব্রভাবে অনুভূত হয়।ইস্তানম্বুল,বুরসা, মানসিয়া ও ইজমিরসহ পশ্চিম অঞ্চলের বিভিন্ন প্রদেশেও দোলন অনুভূত হয়েছে।আতংকে অনেক মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে আশ্রয় নেয়।সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে,অনেক ভবনের জানালার কাচ ভেঙ্গে গেছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

আফাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয় সিন্দির্গিতে বেশ কিছু পুরনো বাড়ি ও ছোট আকারের দোকানঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র জানতে জরিপ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নিহত বা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।এর আগে গত আগস্টেও একই স্থানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যার কেন্দ্রও ছিল সিন্দির্গি।সেই কম্পনের পর থেকে বালিকেসির অঞ্চলে ছোট ছোট আফটারশকের প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেনঐ এলাকার ফল্টলাইনে টেকটোনিক চাপ ধীরে ধীরে জমা হচ্ছিল,যা সোমবার রাতে আবারও মুক্তি পেয়েছে।

ভূগর্ভের টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে তুরস্কে ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত ঘটনা।দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলেন ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। ধসে পড়েছিল হাজার হাজার ভবন।সেই ভয়াবহ কম্পন সিরিয়ার উত্তর অঞ্চলেও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটিয়েছিল-সেখানে মারা যান অন্তত ৬ হাজার মানুষ।

তুরস্ক সরকার জানিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি প্রতিক্রিয়া ইউনিটগুলো প্রস্তুত আছে।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জনগণকে শান্ত থাকতে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন আপাতত বড় কোনো উদ্ধার অভিযান চালানোর প্রয়োজন দেখা যায়নি, তবে সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে।ভূমিকম্পের পর স্থানীয় সময় রাতভর আফটারশক অব্যাহত ছিল।অনেক মানুষ খোলা জায়গায় রাত কাটায়। সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বজুড়ে অনেকে।

সূত্রঃ এএফপি



Daily Nasa News

Editor & Publisher: Shariful Islam
কপিরাইট © ২০২৫ Daily Nasa News । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত