স্টাফ রিপোর্টার।
নাটোর জেলার একমাত্র বৈধ বালি মহাল হচ্ছে দিয়ার বাহাদুরপুর বালি মহাল বৈধভাবে বালুমহাল পরিচালনাকারী ইঞ্জিনিয়ার কাকনের বিরুদ্ধে 'কাকন বাহিনী' নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।স্থানীয় সূত্রমতে ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু ও তার সহযোগীরা নদীপথে চাঁদাবাজি ও অবৈধ দীর্ঘদিন থেকে চুরি করে বালি উত্তোলন করে আসছিলো।
বিগত সময় যেখান থেকে বালি চুরি করে তুলছিলো জাকারিয়া পিন্টুরা সেই জায়গা টিকে নাটোর জেলা প্রশাসন বালি মহাল ঘোষণা করে বিগত কয়েক বছর থেকে টেন্ডার এর মাধ্যমে ইজারা প্রদান করে আসছে এবং এই বালি মহলটি ভালই চলছিল যা নাটোর জেলা সর্বোচ্চ রাজস্ব আসছিলো এই বালি মহাল থেকে।
বিগতের সময় কোন জায়গায় গোলাগুলি ঘটনাও ঘটে নাই এ বালি মহাল কেন্দ্র করে এবং কি চলতি বছর ৯কোটি ৭৬লক্ষ টাকায় মহলটি ইজারা যারা প্রদান করে মোল্লা টেডার্স এর কাছে নাটোর জেলা প্রশাসন।চলতি বছরে জেল থেকে কারামুক্ত হন জাকারিয়া পিন্টু। পিন্টু জেল থেকে বের হয়েই নজর দেয় লালপুরের বালি মহাল এর দিকে।এবং প্রতিদিন বৈধ বালি মহাল থেকে প্রতিদিন পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।এবং বিভিন্ন রকম ফোন্দি ফিকির শুরু করে।কিভাবে টাকা নেওয়া যায় কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার কাকন ও নাছোর বান্দা তাদের বৈধ বালি মল থেকে কেন চাঁদা দিবে এটা নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। পরে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করার পর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।
এদিকে প্রতিদিন বালু মহলে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা, পাকশী,১২ মাইল রাজবাড়ী পাংশা থেকে যে সমস্ত নৌকা বালগেট আসতো সেই সমস্ত নৌকা গুলো থেকে সাড়াঘাটে সেখান থেকে তারা চাঁদা দেওয়া শুরু করে।তখন বামি মহান কর্তৃপক্ষ চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে গেলে তারা নিজেদর ডোন নিজেদের ভিডিও করে ইঞ্জিনিয়ার কাকনের নামে মিডিয়াটা প্রোপাগান্ডা শুরু করে যেহেতু পিন্টু প্রভাবশালী রাজনীতি ব্যক্তি হওয়ার কারণে ঈশ্বরদীর সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে সাহস পায়না।তবে পাবনার বেশ কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়া তার বিরুদ্ধে সংবাদ আসে পিন্টুর বিরুদ্ধে ।এতে সে একটু ঠান্ডা হয়ে কৌশল পরিবর্তন করে।
বিগত ১৭ বছর থেকে একটা কাগজ দিয়ে হাইকোর্ট রিটের অজুহাত করে বালু তুলে আসছিল সুলতানের আহমেদ টনি বিশ্বাস।পরে সেই টনি বিশ্বাসের সাথে নিয়ে ঈশ্বরদী সাড়াঘাটে বালু তুলতে থাকে।কিন্তু সেটাও তাদের বালু তোলা কর্মকান্ড দীর্ঘস্থায়ী করতে দেয়না বিআইডব্লিউটি,এবং টনি বিশ্বাসে সিন্ডিগেটের করা পাঁচটি রিট ২৭সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং খারিজ করে দেয় মহামান্য হাইকোর্ট।এবং বিআইডব্লিউটিএ এই সমস্ত টনি বিশ্বাস সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক পাবনা,কুষ্টিয়া ও নাটোরকে নির্দেশ প্রদান করে।
এতে করে বালিতোলা বন্ধ হয়ে যায় জাকারিয়া পিন্টুদের।তখন মাথায় বজ্রপাত হয় পিন্টুর নতুন করে শুরু করে মিডিয়া প্রোপাগান্ডা মিডিয়ার এই সত্যতা খুজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য অথচ থানা রেকর্ড বলছে,ইঞ্জিনিয়ার কাকনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের পিন্টুর করা ২টি মামলা ছাড়া লালপুর ও ভেড়ামারা থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিপরীতে পিন্টু ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী ও লালপুর থানায় হত্যা, ধর্ষণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ৬২টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে।
পরে পিন্টু মরিয়া হয়ে উঠে কিভাবে ইঞ্জিনাকে ঘায়েল করা যায়।পরে পিন্টু খুঁজতে থাকেন ইঞ্জিনিয়ার শত্রুকে পরে খুঁজে পায় বাঘার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গরু চোর মাদক ব্যবসায়ী বেলাল মুন্ডলকে সাথে নিয়ে শুরু করে নতুন পায়তারা।বেল্লাল মন্ডলের অপরাধ সাম্রাজ্য:বর্তমানে বাঘার এলাকার এক গরু রাখাল থেকে কিভাবে এলাকার মুর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত বেল্লাল মন্ডল।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খানপুর গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক ও অস্ত্র পাচার, হুন্ডি ব্যবসা, জমি জবরদখল ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত। বাঘা, চারঘাট, নাটোরের লালপুর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও ভেড়ামারা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও হত্যার একাধিক মামলা রয়েছে।
কাকনের পারিবারিক ইতিহাস ও জমির মালিকানাঃ
ইঞ্জিনিয়ার কাকনের পারিবারিক ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন।তার নানারা বংশগতভাবে সম্মানিত ও ভদ্রলোক ছিলেন - উভয়ই স্কুলের শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং এলাকায় সু পরিচিত সৎ ও বুদ্ধিজীবী ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। কাকনের নানাদের চরে প্রায় ১৮ শত বিঘা জমি রয়েছে যা তাদের বৈধ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। বিপরীতে, বেল্লাল মন্ডলের বাবা ও চাচারা কাকনের নানাদের বাড়িতে কাজ করতেন।এই পারিবারিক পটভূমি থেকে স্পষ্ট যে, কাকন একটি সচ্চরিত্র ও সম্মানিত পরিবারের সন্তান, যেখানে বেল্লালের বাবা ইঞ্জিনিয়ার এর নানার বাড়িতে কাজ করা সুবাদে পরিবার পরিবারে বিশ্বস্ত হয়ে উঠে,পরে বেলালকেও সে বাড়িতে গরু রাখালের কাজ দেয়কিন্তু বেলাল ২০ টি গরুর পাল নিয়ে পালিয়ে অন্যতে বিক্রি করে দিয়ে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দেয়।দীর্ঘদিন পরে আবার এলাকায় এসে সে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও মিডিয়া কভারেজ:
উল্লেখ্য,বেল্লাল মন্ডলের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রায় ৫০টিরও বেশি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি সংবাদেই বেল্লালের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যদি সময়মতো বেল্লালের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে এলাকায় এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটত না।
বেল্লালের জমি দখল ও চাঁদাবাজিঃ
জানা গেছে পদ্মা নদীর তীরে জেগে ওঠা হাজার হাজার বিঘা খাস জমি ও প্রাকৃতিক খেড় জোরপূর্বক দখল করে বিক্রি করছে বেল্লাল গোষ্ঠী। প্রকৃত জমির মালিক ও কৃষকদের জমি লিজের নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়। প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। এছাড়া শত শত গরু-মহিষের বাতান রয়েছে, যেগুলো চরানোর নাম করে কৃষকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়।
সন্ত্রাসের চূড়ান্ত প্রকাশঃ
লিটন হত্যাকান্ডের মর্মান্তিক বিস্তারিত গত ২৭ অক্টোবর একটিমর্মান্তিক ঘটনায় এলাকা কেঁপে উঠে। রাইটার লিটন কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে নিজের পৈত্রিক জমির খের (কাশবন ) কাটতে যান। এটি ছিল তার সম্পূর্ণ বৈধ জমি।হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় বেল্লাল মন্ডল ও তার সন্ত্রাসী দলবল। বেল্লাল লিটনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে।যখন লিটন নিজ জমিতে ফসল কাটতে গিয়ে চাঁদা দিতে অস্বীককার করেন, তখনই বেল্লালের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা লিটনের উপর নৃশংস হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে হত্যা করার পর লাশটি গুম করার চেষ্টা করে।
লিটনের সাথে যাওয়া শ্রমিকরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তার পরিবারকে খবর দেয়।খবর পেয়ে লিটনের গোত্রের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং লিটনের খোঁজ শুরু করেন।যখন বেল্লাল ও তার দলবল লিটনের বিষয়টি স্বীকার করতে অস্বীকার করে, তখন উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে লিটন সহ মোট ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন।
বেল্লালের মিডিয়া অপপ্রচারঃ
বেল্লাল মন্ডল ইঞ্জিনিয়ার কাকনের বৈধ ব্যবসাকেনষ্ট করতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীকে ব্যবহার করছে। তাদের মাধ্যমে 'কাকন বাহিনী' নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। অথচ গত পাঁচ বছর ধরে কাকনের ইজারাকৃত বালুমহালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়দের দাবিঃ
এলাকাবাসী জানান "বেল্লাল মন্ডলকে যদি আগে থেকেই থামানো যেত, তাহলে আজ এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটত না। লিটন শুধু নিজের জমিতে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন,এর জন্য তাকে চাঁদা দিতে হবে কেন? বেল্লালের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।"এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং দাবি করেছেন যেন বেল্লাল মন্ডল ও তার সন্ত্রাসী চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।
.png)
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার।
নাটোর জেলার একমাত্র বৈধ বালি মহাল হচ্ছে দিয়ার বাহাদুরপুর বালি মহাল বৈধভাবে বালুমহাল পরিচালনাকারী ইঞ্জিনিয়ার কাকনের বিরুদ্ধে 'কাকন বাহিনী' নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।স্থানীয় সূত্রমতে ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু ও তার সহযোগীরা নদীপথে চাঁদাবাজি ও অবৈধ দীর্ঘদিন থেকে চুরি করে বালি উত্তোলন করে আসছিলো।
বিগত সময় যেখান থেকে বালি চুরি করে তুলছিলো জাকারিয়া পিন্টুরা সেই জায়গা টিকে নাটোর জেলা প্রশাসন বালি মহাল ঘোষণা করে বিগত কয়েক বছর থেকে টেন্ডার এর মাধ্যমে ইজারা প্রদান করে আসছে এবং এই বালি মহলটি ভালই চলছিল যা নাটোর জেলা সর্বোচ্চ রাজস্ব আসছিলো এই বালি মহাল থেকে।
বিগতের সময় কোন জায়গায় গোলাগুলি ঘটনাও ঘটে নাই এ বালি মহাল কেন্দ্র করে এবং কি চলতি বছর ৯কোটি ৭৬লক্ষ টাকায় মহলটি ইজারা যারা প্রদান করে মোল্লা টেডার্স এর কাছে নাটোর জেলা প্রশাসন।চলতি বছরে জেল থেকে কারামুক্ত হন জাকারিয়া পিন্টু। পিন্টু জেল থেকে বের হয়েই নজর দেয় লালপুরের বালি মহাল এর দিকে।এবং প্রতিদিন বৈধ বালি মহাল থেকে প্রতিদিন পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।এবং বিভিন্ন রকম ফোন্দি ফিকির শুরু করে।কিভাবে টাকা নেওয়া যায় কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার কাকন ও নাছোর বান্দা তাদের বৈধ বালি মল থেকে কেন চাঁদা দিবে এটা নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। পরে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করার পর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।
এদিকে প্রতিদিন বালু মহলে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা, পাকশী,১২ মাইল রাজবাড়ী পাংশা থেকে যে সমস্ত নৌকা বালগেট আসতো সেই সমস্ত নৌকা গুলো থেকে সাড়াঘাটে সেখান থেকে তারা চাঁদা দেওয়া শুরু করে।তখন বামি মহান কর্তৃপক্ষ চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে গেলে তারা নিজেদর ডোন নিজেদের ভিডিও করে ইঞ্জিনিয়ার কাকনের নামে মিডিয়াটা প্রোপাগান্ডা শুরু করে যেহেতু পিন্টু প্রভাবশালী রাজনীতি ব্যক্তি হওয়ার কারণে ঈশ্বরদীর সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে সাহস পায়না।তবে পাবনার বেশ কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়া তার বিরুদ্ধে সংবাদ আসে পিন্টুর বিরুদ্ধে ।এতে সে একটু ঠান্ডা হয়ে কৌশল পরিবর্তন করে।
বিগত ১৭ বছর থেকে একটা কাগজ দিয়ে হাইকোর্ট রিটের অজুহাত করে বালু তুলে আসছিল সুলতানের আহমেদ টনি বিশ্বাস।পরে সেই টনি বিশ্বাসের সাথে নিয়ে ঈশ্বরদী সাড়াঘাটে বালু তুলতে থাকে।কিন্তু সেটাও তাদের বালু তোলা কর্মকান্ড দীর্ঘস্থায়ী করতে দেয়না বিআইডব্লিউটি,এবং টনি বিশ্বাসে সিন্ডিগেটের করা পাঁচটি রিট ২৭সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং খারিজ করে দেয় মহামান্য হাইকোর্ট।এবং বিআইডব্লিউটিএ এই সমস্ত টনি বিশ্বাস সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক পাবনা,কুষ্টিয়া ও নাটোরকে নির্দেশ প্রদান করে।
এতে করে বালিতোলা বন্ধ হয়ে যায় জাকারিয়া পিন্টুদের।তখন মাথায় বজ্রপাত হয় পিন্টুর নতুন করে শুরু করে মিডিয়া প্রোপাগান্ডা মিডিয়ার এই সত্যতা খুজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য অথচ থানা রেকর্ড বলছে,ইঞ্জিনিয়ার কাকনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের পিন্টুর করা ২টি মামলা ছাড়া লালপুর ও ভেড়ামারা থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিপরীতে পিন্টু ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী ও লালপুর থানায় হত্যা, ধর্ষণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ৬২টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে।
পরে পিন্টু মরিয়া হয়ে উঠে কিভাবে ইঞ্জিনাকে ঘায়েল করা যায়।পরে পিন্টু খুঁজতে থাকেন ইঞ্জিনিয়ার শত্রুকে পরে খুঁজে পায় বাঘার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গরু চোর মাদক ব্যবসায়ী বেলাল মুন্ডলকে সাথে নিয়ে শুরু করে নতুন পায়তারা।বেল্লাল মন্ডলের অপরাধ সাম্রাজ্য:বর্তমানে বাঘার এলাকার এক গরু রাখাল থেকে কিভাবে এলাকার মুর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত বেল্লাল মন্ডল।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খানপুর গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক ও অস্ত্র পাচার, হুন্ডি ব্যবসা, জমি জবরদখল ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত। বাঘা, চারঘাট, নাটোরের লালপুর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও ভেড়ামারা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও হত্যার একাধিক মামলা রয়েছে।
কাকনের পারিবারিক ইতিহাস ও জমির মালিকানাঃ
ইঞ্জিনিয়ার কাকনের পারিবারিক ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন।তার নানারা বংশগতভাবে সম্মানিত ও ভদ্রলোক ছিলেন - উভয়ই স্কুলের শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং এলাকায় সু পরিচিত সৎ ও বুদ্ধিজীবী ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। কাকনের নানাদের চরে প্রায় ১৮ শত বিঘা জমি রয়েছে যা তাদের বৈধ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। বিপরীতে, বেল্লাল মন্ডলের বাবা ও চাচারা কাকনের নানাদের বাড়িতে কাজ করতেন।এই পারিবারিক পটভূমি থেকে স্পষ্ট যে, কাকন একটি সচ্চরিত্র ও সম্মানিত পরিবারের সন্তান, যেখানে বেল্লালের বাবা ইঞ্জিনিয়ার এর নানার বাড়িতে কাজ করা সুবাদে পরিবার পরিবারে বিশ্বস্ত হয়ে উঠে,পরে বেলালকেও সে বাড়িতে গরু রাখালের কাজ দেয়কিন্তু বেলাল ২০ টি গরুর পাল নিয়ে পালিয়ে অন্যতে বিক্রি করে দিয়ে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দেয়।দীর্ঘদিন পরে আবার এলাকায় এসে সে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও মিডিয়া কভারেজ:
উল্লেখ্য,বেল্লাল মন্ডলের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রায় ৫০টিরও বেশি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি সংবাদেই বেল্লালের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যদি সময়মতো বেল্লালের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে এলাকায় এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটত না।
বেল্লালের জমি দখল ও চাঁদাবাজিঃ
জানা গেছে পদ্মা নদীর তীরে জেগে ওঠা হাজার হাজার বিঘা খাস জমি ও প্রাকৃতিক খেড় জোরপূর্বক দখল করে বিক্রি করছে বেল্লাল গোষ্ঠী। প্রকৃত জমির মালিক ও কৃষকদের জমি লিজের নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়। প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। এছাড়া শত শত গরু-মহিষের বাতান রয়েছে, যেগুলো চরানোর নাম করে কৃষকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়।
সন্ত্রাসের চূড়ান্ত প্রকাশঃ
লিটন হত্যাকান্ডের মর্মান্তিক বিস্তারিত গত ২৭ অক্টোবর একটিমর্মান্তিক ঘটনায় এলাকা কেঁপে উঠে। রাইটার লিটন কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে নিজের পৈত্রিক জমির খের (কাশবন ) কাটতে যান। এটি ছিল তার সম্পূর্ণ বৈধ জমি।হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় বেল্লাল মন্ডল ও তার সন্ত্রাসী দলবল। বেল্লাল লিটনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে।যখন লিটন নিজ জমিতে ফসল কাটতে গিয়ে চাঁদা দিতে অস্বীককার করেন, তখনই বেল্লালের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা লিটনের উপর নৃশংস হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে হত্যা করার পর লাশটি গুম করার চেষ্টা করে।
লিটনের সাথে যাওয়া শ্রমিকরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তার পরিবারকে খবর দেয়।খবর পেয়ে লিটনের গোত্রের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং লিটনের খোঁজ শুরু করেন।যখন বেল্লাল ও তার দলবল লিটনের বিষয়টি স্বীকার করতে অস্বীকার করে, তখন উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে লিটন সহ মোট ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন।
বেল্লালের মিডিয়া অপপ্রচারঃ
বেল্লাল মন্ডল ইঞ্জিনিয়ার কাকনের বৈধ ব্যবসাকেনষ্ট করতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীকে ব্যবহার করছে। তাদের মাধ্যমে 'কাকন বাহিনী' নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। অথচ গত পাঁচ বছর ধরে কাকনের ইজারাকৃত বালুমহালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়দের দাবিঃ
এলাকাবাসী জানান "বেল্লাল মন্ডলকে যদি আগে থেকেই থামানো যেত, তাহলে আজ এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটত না। লিটন শুধু নিজের জমিতে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন,এর জন্য তাকে চাঁদা দিতে হবে কেন? বেল্লালের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।"এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং দাবি করেছেন যেন বেল্লাল মন্ডল ও তার সন্ত্রাসী চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।
.png)
আপনার মতামত লিখুন